যেভাবে বাংলাদেশে এলেন হাসান মাসুদ !


সময়টা তখন ১৯৮৪ সাল, আফ্রিকার ছোট্ট দেশ সেনেগালের ঘরে ঘরে যুদ্ধ চলছে। অভাব অনসন আর খাদ্য সংকটের ভারে চাপা পরে পিষ্ঠ সেখানকার জনগণ তখন একটু একটু করে ফুঁসলে উঠতে শুরু করেছে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। ঠিক এমন সময় মাঝারি লম্বা গড়ণের জাত আফ্রিকান এক তরুণ রাতের আঁধারে বর্ডার ক্রস করে বেরিয়ে যান সেনেগাল থেকে। যুদ্ধবিগ্রহ দেখতে দেখতে জীবনের প্রতি ঘৃণা এসে যাওয়া উদাস্তু এই তরুণ যাযাবর বেদুইনের মত হাঁটা শুরু করেন স্বর্গের খোঁজে। চলতে থাকে তার অভিযান। একসময় তিনি সেই স্বর্গের খোঁজ পেয়েও যান। সুন্দর একটি দেশ। এরশাদ তখন ক্ষমতায়। দেশটি বাংলাদেশ…
এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম, লোকটি আর কেউ নয়, আমাদের হাসান মাসুদ। অভিনেতা হাসান মাসুদ। গানের পাখি হাসান মাসুদ। নাট্যবোদ্ধা হাসান মাসুদ। সাংবাদিক হাসান মাসুদ। আর্মি অফিসার হাসান মাসুদ। বহু মেধার অধিকারী এই মানুষটি মিডিয়া থেকে শুরু করে বাস্তবিক জীবনের প্রায় সব শাখায়ই পা রেখে পৌঁছেছেন উচ্চতার শিখরে ! সেই হাসান মাসুদকে নিয়েই আজকের বিশেষ এই প্রতিবেদন !
আমরা কথা বলেছিলাম হাসান মাসুদের সাথে। গানের পাখি হাসান মাসুদ এসেছিলেন সেনেগাল থেকে। এই ঘটনা তিনি স্বীকার করতে চান না কেনো, তা নিয়ে চলুন কিছু জেনে নেয়া যাক…
Image result for hasan masud
– কেমন আছেন হাসান ভাই
– জ্বি ভালো
– ভাবী কেমন আছে?
– জ্বি ভালো আছে
– আব্বা আম্মা?
– ভালো আছে সবাই
– আপনার তো বাচ্চাও আছে। বাচ্চা কেমন আছে?
– ভালো আছে
– ওহ
– প্রশ্ন করুন
– হাসান ভাই আপনি তো সেনেগাল থেকে আসছিলেন
– মিথ্যা কথা
– কিন্তু ভাই, আপনার চোখ তো মিথ্যা বলেনা
– আমি সেনেগাল থেকে আসবো কেনো? আমার জন্ম ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বরিশালে।
– কিন্তু দেখতে তো সেনেগালের নাগরিকের মত।
– দিস ইজ রেসিজম
– হাসান ভাই আপনি মুখে কি মাখেন? ক্রিম না ভ্যাসলিন?
– কোনোটাই মাখিনা
– আপনার বিয়ে কিভাবে হয়েছিলো? পাত্রী খুঁজে পেতে নিশ্চয়ই অনেক বেগ পেতে হয়েছে?
– আমার বিয়ে ছিলো প্রেমের বিয়ে।
– সেনেগালের মেয়ে বিয় করলেন না কেনো?
– আরে আজিব, আপনি সেনেগাল কোথায় পাইলেন। বারবার সেনেগাল সেনেগাল করতেছেন কেনো?
– কারণ আপনি সেনেগালের বাসিন্দা।
– অড, সো অড ইউ আর
কথোপকথনের এই পর্যায়ে হাসান মাসুদ রোজার দোহাই দেখিয়ে আলোচনাপর্ব ছেড়ে উঠে যান। এবং অন্য কোনো দিন ইফতারের পর দেখা করে ইন্টারভিউ দেয়ার কথা বলেন। যদিও হাসান মাসুদকে দেখে রোজাদার মনে হচ্ছিলো না। তাঁর দাঁতের ফাঁকে মাংস ও তরকারীর হলুদ রঙ লেগেছিলো। দেখে বোঝাই যাচ্ছিলো, তিনি রোজা রাখেননি। পর্দা লাগানো হোটেল থেকে সদ্য খেয়ে এসেছেন…
(এই লেখাটি সম্পূর্ণই কাল্পনিক। পাঠকের পাঠানো এই লেখাটি নিছক রসিকতা হিসেবে প্রকাশ করা হলো

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট