চকলেট খুলে রাখলে মাছি বসবেই : মিয়া খলিফা
চকলেট খুলে রাখলে মাছি বসবেই : মিয়া খলিফা
বিশ্বের সবচেয়ে ভদ্র, মেধাবী ও পর্দানশীল নারী হিসেবে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননা জয়ের পর এবার পর্দা নিয়ে প্রচার আওতা আরো বিস্তৃত করতে উঠেপড়ে নেমেছেন মিয়া খলিফা। বাংলাদেশে তার অগণিত ভক্ত আছে জেনে বেশ উচ্ছাস্বিত হয়েছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই লেবানিজ নারী ছোটবেলা থেকেই হিজাব পড়তে পছন্দ করতেন। বাংলাদেশে বোরখা ও হিজাব পড়ায় মেয়েদের সংকোচের কথা জানতে পেরে সম্প্রতি প্রথম আলু সাংবাদিককে ফোন করে এই ব্যাপারে তিনি একটি মাসালাহ জানিয়েছেন।
এসময় বাংলাদেশ ও একই সাথে বিশ্বের সকল নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আম্মু আমাকে ছোটবেলায় বলত, ‘খলিফা বাবু তুমি সবসময় বোরখা বা হিজাবের অভ্যন্তরে থাকার চেষ্টা করবে। তাহলে তোমার উপর কারো কুনজর পড়বেনা ।’ আম্মুর এই উপদেশ শুনে আমি তার কথামত চলার চেষ্টা করেছি। এবং প্রমাণও পেয়েছি যে আম্মু ঠিক বলেছে। তাই তো আজপর্যন্ত আমার পবিত্র স্বত্বার উপর কেউ আঘাত হানতে পারেনি।”
প্রথম আলু সাংবাদিকের কাছে আল্লামা শাফির দুধ এবং তেঁতুল ত্বত্ত শোনার পর মিয়া খলিফা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “শাফি একটা মিথ্যাবাদী। সে আমার আম্মুর ডায়লগ চুরি করেছে। ছোটবেলায় আম্মু আমাকে বলেছে ‘চকলেট খুলে রাখলে মাছি বসবে। এজন্যই চকলেট সবসময় প্যাকেটে ভরে নিরাপদ রাখা হয় ।’ ফেমাস হবার লোভে আল্লামা শাফি আমার আম্মুর এই কথাটাকেই ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলেছে।
এদিকে খলিফার সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে মিডিয়া পাড়ায়। অনেকেই এ নিয়ে অনেক কথা বলছেন। থেমে নেই শাকিব, বাপ্পারাজ, অনন্ত জলি এমনকি ওমর সানীর মত নামীদামী অভিনেতারাও। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক – টুইটারে এর পুরো ব্যতিক্রমটাই দেখা গেছে। আলোচিত এই ইন্টারভিউ নিয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার নামে কেউ একজন একটি ফেইক একাউন্ট থেকে টুইট করেছেন, ‘কাপড় ফাটলে জোড়া লাগানো যায়। মাগার পর্দা ফাটলে জোড়া লাগানো যায়না।’
শেয়ার করুন